ডেনাইটসংবাদ.কম ডেস্কঃ নির্বাচনী আইন সংশোধনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সাথে নির্বাচন কমিশনকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তা না হলে নির্দলীয় সরকারের পাশাপাশি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে দলটি।
বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উপরের নির্দেশে একটি বিশেষ দলকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচন কমিশন। এতে নির্বাচন কমিশনই বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনীর উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এমন বিধান করা হলে এতে নির্বাচনের বিষয়টি আরো জটিল হয়ে ওঠবে। এ সিদ্ধান্ত ইসির নয় বরং উপরের লেভেলের।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও সংশোধনী আইনের খসড়া তৈরি করে তখন এ জাতীয় বিধান তাতে ছিল না। পরবর্তীতে উপরের লেবেলের নির্দেশে তা সংযোজন করা হয়েছে।’ আরপিও সংশোধন করলে দেশে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো আইন পরিবর্তন করতে চাইলে বড় রাজনৈতিক দলগুলো ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। এটাই ইতোপূর্বে হয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন আইন পরিবর্তন করছে অথচ তারা প্রধান রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জনগণের সঙ্গে আলোচনা করেনি।
প্রার্থী বাতিলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করার বিষয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ইসি বলছে এই বিধানটা কখনো প্রয়োগ প্রয়োজন হয় নাই। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না এই বিধানের ফলে নির্বাচনকালীন সময়ের অপরাধ কমে গেছে। এখন যদি তা বাতিল করা হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় ব্যালট বাঙ নিয়ে দৌড় দিলে কিংবা এজেন্টদের বের করে দিলে তখন কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও, তাদের কিছুই করার থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘এই প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা খর্ব করা হলে নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে যাবে। যা কমিশনের পক্ষে সামলানো সম্ভব হবে না।’
এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে দলীয়প্রধানসহ তার মনোনীত ২০ জন যেকোনো জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে এমন তুঘলকি বিধান পৃথিবীর কোনো দেশে রয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই কোথায় এমন বিধান আছে। এটা করলে বিরোধী দল কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না।
ইসিকে উদ্দেশ করে এমকে আনোয়ার বলেন, ‘আরপিও আইনের খসড়া তৈরি করলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। আপনাদের (ইসি) অপকর্ম দিয়ে এ সংকট ঢাকতে পারবেন না। যারা ইতোমধ্যে পানির তলায় ডুবে গেছে, শুধু একটি দলকে উদ্ধার করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে নির্বাচন কমিশনই বিপন্ন হবে।’
এটা বিধান করলে কারা লাভবান হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন যাদের ওপর আইন প্রযোজ্য হয় না, তখনও হবে না। এতে একটি বিশেষ দলই লাভবান হবে’।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
নির্বাচনে বিএনপি’র ভোট চাওয়ার মুখ নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মনোনয়নের ক্ষেত্রে ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না : প্রধানমন্ত্রী
সরকার বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলবে
প্রধান সম্পাদক:মোঃ নুরুল আমিন
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃসোহেল রানা
Chief Editor: Md. Norul Amin, Cell: 01711142317,
Publisher & Editor: Md.Sohel Rana, Cell:01933988098
Office:298/s aBhaban(7thFloor)Arambag,Motijheel,Dhaka,1000
Email:daynightsangbad1@gmail.com,daynightsangbad@yahoo.com