আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ সহ ১০ জনের নামে মাসলার আদেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একই অভিযোগে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ১০ কর্মকর্তারা হলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস মোছা. হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রানী রায়, এফএএন্ডসিএও মো. শরিফুল ইসলাম, ডেপুটি সিসিএম ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, এফএএন্ডসিএও মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিএও মো. গোলাম রহমান, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী এবং সাবেক সিসিএম ও বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ।
এছাড়া আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিমাঞ্চল রেলের যে ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তারা হলেন, সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ, সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেলের জন্য ২০টি আইটেম কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি ট্রেন পরিচালনায়ও ঝুঁকি বাড়ে। কেনাকাটার ঘটনা তদন্তে ২০ সেপ্টেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রেলপথমন্ত্রীর কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। রিপোর্টে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, ১৩৩ টাকার তালা ৫৫০০ টাকা, ২০০ টাকার বালতি ১৮৯০, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫, ৭৫ টাকার ঝাণ্ডা ১৪৪০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছিল। একইভাবে ২০টি পণ্যও কেনা হয়েছে বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। বেশি দাম দেখানোয় সরকারের ক্ষতি হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। এ টাকা পকেটে তুলেছেন রেলের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। ২৯ পাতার তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে ১০৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়।